জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপনের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-কানুন
প্রিয় পাঠক, শুভেচ্ছা নিবেন। ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে নির্দেশনা প্রদান করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী 31 জানুয়ারি ২০২৪খ্রি. তারিখের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপনের জন্য ২দিন ব্যাপী ৪৫তম বিজ্ঞান মেলা, ৮ম বিজ্ঞান কুইজ এবং ৮ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড আয়োজনের জন্য বলা হয়েছে। এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃক প্রণীত যে নিয়মাবলী রয়েছে সেখান থেকে সংক্ষেপে আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি যাতে করে আপনারা খুব সহজেই এই বিজ্ঞান মেলা, কুইজ ও অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের নিয়মাবলী জানতে পারেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দ এখান থেকে সহজেই নিয়ম গুলো বুঝে প্রস্তুতি নিতে পারবেন আশা করি।
প্রথমেই বলে রাখি, এক একটি উপজেলায় এক এক তারিখে এই মেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে তবে ৩১শে জানুয়ারির, ২০২৪ এর মধ্যেই সব উপজেলায় এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন সম্পন্ন হবে। তাই আপনার নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ রাখবেন। আর বিশেষ কোন পরিবর্তন না হলে এই নিয়মাবলী প্রতি বছরের জন্য একই থাকবে।
বিজ্ঞান মেলা:
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা এই তিন ধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। মাধ্যমিক স্তর হল জুনিয়র গ্রুপ এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তর হল সিনিয়র গ্রুপ। মেলায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি প্রজেক্ট নিয়ে স্টলে আসবে। একটি প্রজেক্ট একজন শিক্ষার্থী উপস্থাপন করবে তবে প্রজেক্ট বড় হলে সর্বোচ্চ দুই জন শিক্ষার্থী উপস্থাপন করতে পারবে। স্কুল এবং কলেজের বিজ্ঞান ক্লাব বাদে অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা বাদে বিভিন্ন বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্যবৃন্দ, তরুণ ও অপেশাদার বিজ্ঞানীগণ, উদ্ভাবকগণ এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি অংশগ্রহণকারীগণ বিশেষ গ্রুপ হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ বিজ্ঞান মেলায় মোট গ্রুপ হবে তিনটি যথা জুনিয়র, সিনিয়র ও বিশেষ। এই তিনটি গ্রুপের প্রজেক্ট বিচার/মূল্যায়ন করে প্রতিটি গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হবে।
মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে বিজ্ঞান প্রকল্প/প্রজেক্ট মূল্যায়ন/বিচার করা হবে। তার মধ্যে ক) প্রকল্পের মৌলিকতা ও স্বকীয়তা- ২০, খ) গবেষণা, নিরীক্ষা ও নতুন তথ্য উদঘাটন- ২০, গ) উপকরণের সহজলভ্যতা-15, ঘ) প্রকল্প বিষযয়ে বৈজ্ঞানিক ধারণা-15, ঙ) প্রকল্পের কার্যকারিতা- ১০, চ) দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান- ১০ এবং ছ) সার্বিক উপস্থাপনা- ১০ নম্বর থাকবে।
উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি গ্রুপে বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করবে। জেলায়ও একই ভাবে প্রতিটি গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হবে। তবে জেলা পর্যায়ের শুধু প্রথম স্থান অধিকারী ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড:
এবারে আসি বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিষয় নিয়ে। নীতিমালা অনুযায়ী মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা জুনিয়র গ্রুপ এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সিনিয়র গ্রুপ হিসেবে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ জন শিক্ষার্থী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী আলাদা আলাদা ভাবে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা একই প্রশ্ন আলাদা আলাদা ভাবে উত্তর করবে।
বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করা হবে, সেখানে পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত এবং আইসিটি বিষয়ে মোট ১০০ টি প্রশ্ন থাকবে। সকল বিষয়ে সমান সংখ্যক প্রশ্ন থাকবে অর্থাৎ পাঁচ বিষয়ে ২০টি করে মোট ১০০ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নগুলোর ধরন হবে যেন শিক্ষার্থীরা এক লাইনে বা একটি শব্দে উত্তর করতে পারে অর্থাৎ প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকারীগণ জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতে পারবে। জেলা পর্যায়েও পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হবে তবে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী জাতীয় পর্যায়ের বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করবে। আর জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে বিদেশ সফরে প্রেরণ করা হবে। বিদেশ গামী টিমের সাথে সেরা আয়োজকদের মধ্য থেকে একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকেও বিদেশ সফরে প্রেরণ করা হবে।
বিজ্ঞান কুইজ:
বিজ্ঞান কুইজ অনুষ্ঠিত হবে শুধু মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান কুইজে অংশগ্রহণ করবে দল হিসেবে অর্থাৎ প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তিনজনের একটি টিম কুইজে অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে একজন দলনেতা অন্য দুইজন রানিংমেট। কুইজে থাকবে দুইটি পর্ব। প্রথমটি বাছাই পর্ব এবং দ্বিতীয়টি চূড়ান্ত পর্ব। বাছাই পর্বে একটি উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত এবং আইসিটি বিষযয়ে ১০০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সময় থাকবে এক ঘন্টা, মোট নম্বর ১০০। এখানে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এক লাইনে বা এক শব্দে অর্থাৎ প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। দলের তিন জন মিলে প্রশ্নের উত্তর দিবে। প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্য থেকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে সেরা ৮ টি দল নির্ধারণ করা হবে।
এই সেরা ৮ দলকে নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব কুইজ অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত পর্বে ১ম স্থান অধিকারী দলের সাথে ৮ম স্থান অধিকারী দল, ২য় স্থান অধিকারী দলের সাথে ৭ম স্থান অধিকারী দল, ৩য় স্থান অধিকারী দলের সাথে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার দল এবং ৪র্থ স্থান অধিকারী দলের সাথে ৫ম স্থান অধিকারী দলের কুইজ হবে। ১ম এবং ৮ম এই দুই দলের মধ্যে বিজয়ী দলকে বলা হবে ক গ্রুপ, ২য় ও ৭ম এই দুই দলের মধ্যে বিজয়ী দলকে বলা হবে খ গ্রুপ, ৩য় ও ৬ষ্ঠ এই দুই দলের মধ্যে বিজয়ীকে বলা হবে গ গ্রুপ এবং ৪র্থ ও ৫ম এই দুই দলের মধ্যে বিজয়ীকে বলা হবে ঘ গ্রুপ। এরপরে ক গ্রুপ ও গ গ্রুপের মধ্যে কুইজ হবে যার বিজয়ীকে কে বলা হবে ধ্রুব এবং খ গ্রুপ ও ঘ গ্রুপ এর মধ্যে কুইজ হবে যার বিজয়ী কে বলা হবে মৃত্তিকা। এই ধ্রুব এবং মৃত্তিকা এই দুই দলের মধ্যে ফাইনাল কুইজ অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী কে বলা হবে চ্যাম্পিয়ন আর বিজীত দল হবে প্রথম রানারআপ।
তৃতীয় স্থান বা দ্বিতীয় রানারআপ নির্ধারণ করার জন্য নীতিমালয় তেমন কিছু বলা নেই। তাই তৃতীয় স্থান বা দ্বিতীয় রানারআপ নির্ধারণ করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ম তৈরি করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে ক ও গ গ্রুপের কুইজের বিজীত এবং খ ও ঘ গ্রুপের কুইজের বিজীত দল দুইটির মধ্যে অনুরুপ কুইজ করে তৃতীয় স্থান বা দ্বিতীয় রানারআপ নির্ধারণ করা যাবে। অথবা উক্ত বিজীত দল দুইটির মধ্যে মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত দলটিকে তৃতীয় স্থান বা দ্বিতীয় রানারআপ নির্ধারণ করা যাবে। উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ এই তিনটি দল জেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান কুইজে অংশগ্রহণ করবে। অনুরুপভাবে জেলা পর্যায়ে বিজয়ী তিনটি দল বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান কুইজে অংশগ্রহণ করবে। আর বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ী তিনটি দল জাতীয় পর্যায়ের বিজ্ঞান কুইজে অংশগ্রহণ করবে।
এবার মূল কুইজে যে প্রশ্ন করা হবে সে নিয়মটি আলোচনা করছি। মূল কুইজে প্রতিটি দলকে মোট ২০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই ২০টি প্রশ্নের মধ্যে আবার দুইটি ভাগ থাকবে বা দুইটি রাউন্ড থাকবে। প্রথম রাউন্ডে ১০টি প্রশ্ন আর দ্বিতীয় বা ঝটপট রাউন্ডে ১০টি প্রশ্ন। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে সমান সংখ্যক অর্থাৎ প্রথম রাউন্ডের দশটি প্রশ্নের দুইটি দুইটি করে পাঁচ বিষয়ের ১০টি এবং ঝটপট রাউন্ডে দুইটি দুটি করে পাঁচটি বিষয়ের ১০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রথম রাউন্ডে একটি প্রশ্ন উত্তর করার জন্য পক্ষ দলকে ১৫ সেকেন্ড সময় দেওয়া হবে, উত্তর সঠিক হলে দলটি ৫ নম্বর পাবে তবে ভুল হলে কোন নম্বর কাটা যাবে না। কিন্তু ভুল হলে বা উত্তর না করলে একই প্রশ্নের উত্তর বিপক্ষ দল দেয়ার সুযোগ পাবে। বিপক্ষ দল ০৫ সেকেন্ডের মধ্যে সঠিক উত্তর দিতে পারলে নিজেদের জন্য ৫ নম্বর প্রাপ্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় ১০টি প্রশ্ন পক্ষ দলকে জিজ্ঞেস করা হবে। এরপরে ঝটপট রাউন্ড, এখানে পক্ষ দলকে ১০টি প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দিতে হবে, প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা ও উত্তর দেওয়া কার্যক্রমটি ০২ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এখানে প্রশ্নের উত্তর সঠিক হলে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৫ নম্বর যোগ হবে তবে উত্তর ভুল হলে বা না দিলে কোন নম্বর কাটা যাবে না। ঝটপট রাউন্ডে বিপক্ষ দলের কোন সুযোগ থাকবে না অর্থাৎ পক্ষ দল প্রশ্নের উত্তর না পারলে বা ভুল উত্তর দিলে বিপক্ষ দল উত্তর দেয়ার সুযোগ পাবে না।
এবার মূল কুইজে যে প্রশ্ন করা হবে সে নিয়মটি আলোচনা করছি। মূল কুইজে প্রতিটি দলকে মোট ২০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই ২০টি প্রশ্নের মধ্যে আবার দুইটি ভাগ থাকবে বা দুইটি রাউন্ড থাকবে। প্রথম রাউন্ডে ১০টি প্রশ্ন আর দ্বিতীয় বা ঝটপট রাউন্ডে ১০টি প্রশ্ন। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে সমান সংখ্যক অর্থাৎ প্রথম রাউন্ডের দশটি প্রশ্নের দুইটি দুইটি করে পাঁচ বিষয়ের ১০টি এবং ঝটপট রাউন্ডে দুইটি দুটি করে পাঁচটি বিষয়ের ১০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রথম রাউন্ডে একটি প্রশ্ন উত্তর করার জন্য পক্ষ দলকে ১৫ সেকেন্ড সময় দেওয়া হবে, উত্তর সঠিক হলে দলটি ৫ নম্বর পাবে তবে ভুল হলে কোন নম্বর কাটা যাবে না। কিন্তু ভুল হলে বা উত্তর না করলে একই প্রশ্নের উত্তর বিপক্ষ দল দেয়ার সুযোগ পাবে। বিপক্ষ দল ০৫ সেকেন্ডের মধ্যে সঠিক উত্তর দিতে পারলে নিজেদের জন্য ৫ নম্বর প্রাপ্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় ১০টি প্রশ্ন পক্ষ দলকে জিজ্ঞেস করা হবে। এরপরে ঝটপট রাউন্ড, এখানে পক্ষ দলকে ১০টি প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দিতে হবে, প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা ও উত্তর দেওয়া কার্যক্রমটি ০২ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এখানে প্রশ্নের উত্তর সঠিক হলে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৫ নম্বর যোগ হবে তবে উত্তর ভুল হলে বা না দিলে কোন নম্বর কাটা যাবে না। ঝটপট রাউন্ডে বিপক্ষ দলের কোন সুযোগ থাকবে না অর্থাৎ পক্ষ দল প্রশ্নের উত্তর না পারলে বা ভুল উত্তর দিলে বিপক্ষ দল উত্তর দেয়ার সুযোগ পাবে না।
শেষ কথা
এই হলো নীতিমালা, তবে স্থানীয় পর্যায়ে ছোট খাট পরিবর্তন হতে পারে বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে কিছু সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সেটি আপনারা স্থানীয়ভাবে জেনে নিবেন আশাকরি। শুধু ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহই নয় বরং প্রতিটি বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান কুইজ এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে আপনার শিক্ষার্থী/পোষ্যকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে তার মেধা বিকাশে সহায়তার পাশাপাশি বিজ্ঞানমনষ্ক জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবেন এই প্রত্যাশা করছি। আমি ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের সফলতা কামনা করছি।